desh somoy logo
ঢাকাSaturday , 6 July 2024
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আবহাওয়া
  4. ইসলাম
  5. ক্রিকেট
  6. চাকরি
  7. ঢাকা বিভাগ
  8. পায়রা বন্দর
  9. প্রযুক্তি সময়
  10. ফেসবুক
  11. বরিশাল বিভাগ
  12. বানিজ্য
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. বিশ্ব

বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ এসেছে কম, পরিশোধ বেশি

Link Copied!

ডলারের বাজারে অস্থিরতার মধ্যে দর বেড়ে যাওয়া ও উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়া কমিয়েছেন।

বেসরকারি খাতে স্বল্প মেয়াদী বিদেশি ঋণ নেওয়ার ধারায় ভাটা পড়েছে; আগের ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধেই ডলার যাচ্ছে বেশি, যা চাপ তৈরি করছে রিজার্ভে।

চলতি পঞ্জিকা বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে বেসরকারি খাতের কোম্পানি ও উদ্যোক্তারা বিদেশি ঋণদাতা কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প মেয়াদি ঋণ নিয়েছেন ৮ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে আগের নেওয়া ঋণ সুদসহ পরিশোধ করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এ খাতে এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বিদেশি ঋণ কম এসেছে। এপ্রিলে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। মে মাসে যা ছিল ১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

অপরদিকে মে মাসে সুদসহ পরিশোধ করতে হয়েছে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ মে মাসে যে ঋণ এসেছে এর চেয়ে ১২ কোটি ডলার বেশি বিদেশের উৎসগুলোতে ফেরত গেছে।

আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলার সংকট তৈরি হওয়া, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া, ডলারের দর স্থিতিশীল না হওয়া, রিজার্ভ সংকট, উচ্চ সুদহারের কারণে বিদেশি ঋণ নিতে ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায় তাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা স্বল্প মেয়াদী ঋণ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

তারা বলছেন, বাংলাদেশের মত দেশে বেসরকারি খাতে স্বল্প মেয়াদী ঋণ বেশি আসা অর্থনীতির জন্য ভালো। কম আসলে সংকট তৈরি হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে ডলার সংকট দেখা দিলে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের অনেকে ব্যবসার বর্তমান ও সামনের দিনের অবস্থা পর্যালোচনা করছেন। কারণ ব্যবসায়িক খরচ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। বেসরকারি খাতে স্বল্প মেয়াদী যে বিদেশি ঋণ নেওয়া হয় তা ব্যবসায়ীদেরকে ডলারেই পরিশোধ করতে হয়।

ডলারের দর গত দুই বছরে প্রায় ৩৫ শতাংশের উপর বেড়ে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২২ সালের শুরুর দিকে ব্যবসায়ীরা বিদেশি ঋণ পেত মাত্র ৪ শতাংশ সুদে। তখন ব্যাংকগুলো টাকায় ঋণ নিতে পারত ৯ শতাংশ সুদে। ওই বছরে বড় সময় জুড়ে সোফর রেট ছিল ১ শতাংশেরও কম। এরসঙ্গে ব্যাংকগুলো আরও ৩ শতাংশ সুদ যোগ করতে পারত। কিন্তু বর্তমানে সোফর রেট সাড়ে ৫ শতাংশেরও বেশি। এছাড়া আরও ৪ শতাংশ ব্যাংকগুলো চার্জ করতে পারবে। ফলে সোফার রেট ১০ শতাংশের উচ্চ সুদহারে পৌঁছেছে।

তার ভাষ্য, এ উচ্চ সুদহারের কারণেই ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়া কমিয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
desh somoy ad 5