সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিতে সংস্কার আনতে ক্ষমতাসীন সরকার রাজি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের ব্যাপারে আমরা নীতিগতভাবে একমত। সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বের হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় আন্দোলনকারীদের আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষার্থীদের সাথে আজই বসতে রাজি আমরা। সহিংসতা বন্ধ করে আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে করা আপিল নিয়ে আদালতে আগামী ৭ আগস্ট যে শুনানির দিন ধার্য আছে তা এগিয়ে আনা যায় কি না, তা নিয়ে আলাপ করবেন বলে জানান আনিসুল হক। তিনি বলেন, আদালতের শুনানি এগিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী রোববার এ বিষয়ে শুনানি করা যায় কি না, তা নিয়ে অ্যাটনি জেনারেলের সঙ্গে আলাপ করেছি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে তিন জেলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়।
এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। হলত্যাগ করতে বলা হয় শিক্ষর্থীদের। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিটি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরও আন্দোলনকারীরা রাজানীসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন—এর ব্যানারে এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। নানা স্থানে আন্দোলনকারী, ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অনেকে।