মার্কিন নির্বাচন গড়াতে বাকি আছে মাত্র তিন দিন। অতীত অভিজ্ঞতা মাথায় নিয়ে তার আগে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে সতর্ক ডেমোক্রেট শিবির। ২০২০ সালের ভোটের দিন সকালে নিজেকে আগাম বিজয় ঘোষণা করে উত্তেজনা তৈরি করেছিলেন ট্রাম্প। এমন পদক্ষেপ ঠেকাতে এবার ব্যবস্থা নিবে ডেমােক্রেটরা।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এবারের ভোটে ট্রাম্পকে জয়ী করার জন্য বিশ্বের অনেক দুর্বল গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অবস্থান রয়েছে। বাইডেন প্রশাসন যে সব সরকারপ্রধানের ওপর নাখোশ, ইতোমধ্য এমন বেশ কয়েকটি দেশ পরোক্ষভাবে ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রাম্প ভোটের ফলাফল বদলানোর জন্য দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ইলেক্টোরাল ভোট পেতে (জর্জিয়া ১৬, নর্থ ক্যারোলিনা ১৬, মিসিগান ১৫, পেনসিলভানিয়া ১৯, উইসকনসিন ১০, অরিজোনা ১১, নেভেদা ৬ ) ভয়ানক পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে হয়।
আমেরিকায় এই ধরণের প্রচেষ্টা এবারই প্রথমবারের বারের মতো করা হচ্ছে। এই ধরণের আলোচনা সংবাদমাধ্যমে আসার পর, গণতান্ত্রিক মূল্যোবোধ সম্পন্ন মানুষের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে কমলা হ্যারিসের ডেমোক্রেট শিবির জানিয়েছে, ট্রাম্প আগাম বিজয় ঘোষণা করলে তা ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা।
বুধবার এবিসি নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেছেন, ‘ট্রাম্প যদি গণমাধ্যম ব্যবহার করে মার্কিনিদের ভুলভাল বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাহলে তা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত আছি’।
ডেমোক্রেটদের থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, ট্রাম্প ভোটের রেজাল্ট আসার শুরুতেই বিজয় ঘোষণা দিতে পারে। পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম ও নিয়ে ট্রাম্পের পক্ষ কাজ করতে পারে। এমনকি ইসরাইল ও রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমও নাকি এই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে।
মার্কিন নির্বাচনের পুরোপুরিভাবে গণনা করতে কমপক্ষে ৩-৪দিন সময় লাগে। এবার সাত দোদুল্যমান রাজ্যের ভোটের ৭০ ভাগ গণনা হলেই ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে যাবে।