দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বিশ্বজুড়ে একের পর এক আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে দেশটিতে নারী অধিকার ও অভিবাসীদের প্রতি স্পষ্ট হুমকি হয়ে উঠেছেন রিপাবলিকান এই নেতা। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতার প্রথম দিন থেকেই নতুন এক যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন এ যুদ্ধে এবার সীমান্তে মিত্র হারাতে চলছে যুক্তরাষ্ট্র, যার পরিণতি কী হবে তা এখনই আঁচ করা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই চীন, মেক্সিকো এবং কানাডার ওপর নতুন করে করারোপ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার ও অবৈধ অভিবাসন রোধে দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতেই এমন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করতে চান তিনি।
নবনির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট জানান, ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। সেখানে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ করা হবে।
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, নির্বাহী আদেশে জারি করা ২৫ শতাংশ করের ওপর বাড়তি আরও ১০ শতাংশ করারোপ করবেন অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর। যার ফলে চীন থেকে মার্কিন বাজারে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক দাঁড়াবে ৩৫ শতাংশ। বেইজিং মার্কিন বাজারে সিন্থেটিক ওপিওড ফেন্টানাইলের চোরাচালান বন্ধ করার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।
ট্রাম্প যদি সত্যিই এমন নির্বাহী আদেশ জারি করেন তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম তিন বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে দেশটির বড় ধরনের উত্তেজনা তৈরি করবে। এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকো ও কানাডার বাণিজ্য চুক্তির লঙ্ঘন করবে বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প জানান, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর এসব কর ততদিন পর্যন্ত থাকবে যতদিন এসব দেশ মার্কিন ভুখণ্ডে মাদক ও অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করবে। এসব সমস্যার সমাধান না করলে বড় মূল্য পরিশোধ করার এটিই উপযুক্ত সময় বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, বেইজিং বিশ্বাস করে চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা পারস্পরিক লাভ অনুসারে গড়ে উঠেছে। এতে বাণিজ্য যুদ্ধ বা কর যুদ্ধ করে কোনো পক্ষই উপকৃত হবে না। এর আগে নির্বাচনী প্রচারণায় ফেন্টানাইল চোরাচালান নিয়ে মেক্সিকো ও চীনের ওপর শতভাগ করারোপ করার হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।