বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স থেকে দিবসটি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরে জিমনেশিয়াম থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে জেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।
এরপর জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অতুল প্রসাদ চাকমা।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি সদর সেনা জোনের বিদায়ী জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ জুনাইদ উদ্দিন শাহ চৌধুরী, নবাগত জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ একরামুল রাহাত, এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ রাঙামাটি রিজিয়নের পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন প্রমুখ।
এ বছর ট্যুরিজম মিডিয়া ফেলোশিপ সম্মাননা পাওয়া সাংবাদিক ইয়াছিন রানা সোহেল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এতে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ নীরুপা দেওয়ান, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ার আল হক, জেলা পরিষদের সদস্য নাইপ্রু মারমা ও বৈশালী চাকমা।
আলোচনা সভায় রাঙামাটির পর্যটন সম্ভাবনা, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা, এবং ইকো-ট্যুরিজম সম্প্রসারণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
বক্তারা বলেন, পাহাড়, নদী, হ্রদ ও বনভূমিতে ভ্রমণ সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব রাঙামাটির সভাপতি বাদশা ফয়সাল এবং রাঙামাটি বেতারের উপস্থাপিকা চৈতি ঘোষ।
আলোচনা সভা শেষে পর্যটন ব্যক্তিত্ব হিসেবে লেখক ইয়াছিন রানা সোহেল, সেরা রিসোর্ট হিসেবে রাঙ্গাদ্বীপ এবং সেরা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আল আমিন সাজিদ-কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও মাসব্যাপী ট্যুর গাইড প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থী ও ম্যারাথন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য রাঙামাটির পাহাড়, লেক ও হ্রদের সৌন্দর্যের কারণে যেমন পর্যটকপ্রিয়, তেমনি স্থানীয় হস্তশিল্প, সংস্কৃতি ও খাবারের বৈচিত্র্যও পর্যটনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পর্যটকরা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, স্থানীয় মানুষের আতিথেয়তা এবং সংস্কৃতি উপভোগ করার জন্যও রাঙামাটি ভ্রমণ করেন।
