ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ডাকা বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানী ইসলামাবাদ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় তাদের সংঘর্ষ হয়।
প্রথম দিকে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটলেও পরে সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর চড়াও হয়। এতে এ পর্যন্ত ছয়জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আলজাজিরাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন আধা সামরিক রেঞ্জার ও দুই পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
তবে এপি নিউজ এজেন্সি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। একটি গাড়ি সড়কে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দিলে তিনি নিহত হন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদমুখী জনতার স্রোত থামাতে নামানো হয়েছে সেনাসদস্যদের। শুধু তাই নয়, ইমরান সমর্থকদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দ্য ইকোনমিকস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির সংবিধানের ২৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিক্ষোভকারী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলি চালানোর মতো চরম পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে।