ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের রামাত গান এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি বহুতল ভবন। ছবি: এপি
ইসরাইলের আগ্রাসনের পাল্টা জবাব অব্যাহত রেখেছে ইরান। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এরই মধ্যে ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়েছে অধিবাসীরা। রিপোর্ট মতে, গত এক সপ্তাহে ৫ হাজারের বেশি ইসরাইলি গৃহহীন হয়েছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ইসরাইলের হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
ইসরাইলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ১১০ জনকে গৃহহীন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯০৭ জন রাজধানী তেল আবিবের বাসিন্দা।
যতই দিন যাচ্ছে ইসরাইলে গৃহহীনের সংখ্যা ততই বাড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে ইসরাইলে ইরানের হামলার প্রভাব খুব সীমিত ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদ করে কয়েকটি স্থানে আঘাত হেনে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যাও কমে গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় ইরানের সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার যুদ্ধের কারণে দেয়া কিছু বিধিনিষেধও শিথিল করেছে।
তবে বৃহস্পতিবার সকালের হামলা প্রমাণ করেছে যে, ইরানের এখনও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা চালানোর ক্ষমতা আছে। ইরানের টার্গেটের মধ্যে পড়েছে দক্ষিণের বির শেবা শহরের সরোকা মেডিক্যাল সেন্টার, তেল আবিবের কাছের হোলোন ও রামাত গান শহর।
ইরান বলেছে, বির শেবায় তাদের আসল লক্ষ্য ছিল হাসপাতালের পাশে থাকা সামরিক স্থাপনা। তবে ইসরাইলের উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল অভিযোগ করেছেন, ইরান ইচ্ছে করে সরোকা হাসপাতালকে টার্গেট করেছে।
অন্য যেসব শহরে ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে, সেখানে কী টার্গেট ছিল তা পরিষ্কার নয়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইসরাইল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা, জ্বালানিকেন্দ্র, বিমানবন্দর, সরকারি ভবন এমনকি আবাসিক এলাকাতেও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।