পার্বত্য অঞ্চলে সকলের আন্তরিকতা থাকলে পাহাড়ের এই কৃষিতে বিল্পব ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল খালেক। এশিয়ার সেরা নারী গোলকিপার রুপনা চাকমার বাড়ি যাওয়ার পথে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে অর্থায়নে নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১২টায় নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ভুইয়াদাম এলাকার সেচ ড্রেইন, রুপনা চাকমার বাড়ি ও মহাসতিপঠান ধুতাঙ্গ অরন্য সাধনা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে নির্মাণাধীন সেতু এবং কৈলাসপূর্ণ পাড়া এলাকার তুলার প্লট পরিদর্শন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল খালেক।
এসময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ছালেহ্ আহাম্মদ।
এসব প্রকল্প পরিদর্শনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল খালেক সুফলভোগীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন।
এবিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে কৃষি নিয়ে সরকারের নানা ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত আছে। আর নানিয়ারচরের মাটি তো নয় যেন সোনা। এখানকার মাটিতে সোনা ও ফলে। তিন পার্বত্য জেলার জন্য আমাদের প্রতি বছরই কৃষির ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ৪০শতাংশ বরাদ্দ রাখার জন্য ৩জেলা পরিষদ এবং উন্নয়ন বোর্ড কে আমরা রিকোয়েষ্ট করেছি। তারা আমাদের কথায় সাড়া দিয়েছে। পাহাড়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি যেসব কর্মসূচি বা প্রোগ্রাম সেগুলো অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছে এবং যারা উপকারভোগী আছেন সকলের আন্তরিকতা থাকলে পাহাড়ের এই কৃষিতে বিল্পব ঘটবে।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনা ও তুলা চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দীন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবি করিমুন্নেছা , নানিয়ারচর থানার ওসি মো. নাজির আলম, নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অমল কান্তি চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ খোরশেদ আলম ও উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসান মোহাম্মদ নোমান সহ স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং সুবিধাভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।