অনলাইন জুয়ার স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা। যেখানে দেশ একটি ক্রান্তিকাল পার হচ্ছে অন্যদিকে একদল সন্ত্রাসীরা সেই সুযোগে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সর্বস্বান্ত করছে সাধারণ মানুষ কে।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার বাসিন্দা আলামিন ও তার আপন ভাই শাহীন (২৫)ঈশ্বরগঞ্জে তরুণ , তরুণী, কিশোর, যুবক ও পঞ্চাশোর্ধ মানুষকে এই অনলাইন জুয়ায় আসক্ত করে তাদের করছে সর্বস্বান্ত। কেহ কেহ কিস্তি, স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বন্ধক, জমি বিক্রি করে ধনী হওয়ার আশায় ওই অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে।
এতে বাড়ছে সমাজে চুরি, ডাকাতি এমনকি স্বামীর হাতে স্ত্রীরা হচ্ছে নিঃগৃহীত, ভাঙছে সংসার। অন্যদিকে লাভবান হচ্ছে অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট আলামি(২৫) । আলামিন এর এসব অসামাজিক কর্মকাণ্ডে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। আলামিন ওই করাল গ্রাসের থাবায় আজ অনেকেই পথের ফকির। কোনোভাবেই লাগাম টানতে পারছে না পুলিশ প্রশাসন ও এলাকাবাসী।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাবাসী জানান, ৩বছর আগে আলামিন ও তার ভাই শাহিন সপরিবারে ছিল অসচ্ছল। যাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরাতো সে এখন তার স্বপরিবারে কিসিনো ব্যবসা করর কোটি কোটি টাকার মালিক। আলামিন এবং তার ভাই শাহিন এবং তার ফ্যামিলির অন্যান্য সদস্য অনলাইন জুয়ার প্রশিক্ষণ গড়ে তোলেন অনলাইন জুয়ার নেটওয়ার্ক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আলামিন সুপার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা এবং বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে অটল সম্পত্তি জমি সহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে অনেক স্থাবর অস্থাবর।এই অল্প সময়ের নির্দিষ্ট কোন আয়ের উৎস না থাকার পরেও কিভাবে এত টাকা অ জীবন ব্যবস্থার এত উন্নতি করেছে এই নিয়ে পুরো এলাকাবাসীর মাঝে সবসময়ই কৌতূহলের জন্ম নেয়।সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে আলামিন এবং তার ভাই শাহিন সকল ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন গোপন সূত্রে জানা যায় তাদের এই কিসিনো ব্যবসায়ীদের মাঝে একটা সিন্ডিকেট আছে তাদেরকে ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনা। পুলিশ প্রশাসনও তাদের হাতে জিম্মি।
কচু গাছ কাটতে কাটতে আলামিন হয়ে ওঠেন ডাকাত। তাঁর ওই অনলাইন ক্যাসিনো জুয়া ঈশ্বরগঞ্জ ছাড়িয়ে পুরো ময়মনসিংহ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর অনলাইন জুয়া খেলার নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ আলামিন এর হাতে। সাধারণ মানুষ বুঝে ওঠার আগেই আলামিন হয়ে ওঠেন কোটিপতি।
কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না এই অনলাইন জুয়া।শিশু থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া তরুণ তরুণীরা এই অনলাইন জুয়া আসক্ত হয়ে আজ দিশেহারা।
আলামিন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে ওঠেন ক্যাসিনো সম্রাট। হস্তগত হতে থাকে কোটি কোটি টাকা। এই বিষয়ে আলামিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি কীভাবে কি করে এত টাকা বানিয়েছি সেটা আপনাদের কেন জবাবদিহি করতে হবে। এমনকি সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আলামিন
এই বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অবৈধ ওই অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার সাথে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।