যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ প্রতিষ্ঠিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ”—এই মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়েই আজ থেকে শুরু হলো হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শরৎকালে দেবী দুর্গার এই অকালবোধন উৎসবে ভক্তদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় এবার মোট ২২৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে কচুয়ায় ৩৮টি, শাহরাস্তিতে ১৯টি, হাজীগঞ্জে ২৯টি, মতলব উত্তরে ৩৪টি, মতলব দক্ষিণে ৩৪টি, হাইমচরে ৬টি, ফরিদগঞ্জে ২২টি এবং চাঁদপুর সদরে ৪২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, রোববার, ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী এই মহোৎসব। এ বছর দেবী দুর্গা গজে (হাতি) আগমন করেছেন এবং পূজা শেষে দোলায় গমন করবেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর জানিয়েছেন—
“এবার সদর উপজেলা ও পৌর এলাকায় মোট ৪২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই সব মণ্ডপ কমিটিকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিজস্ব ভলান্টিয়ারদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন এবং সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছি।
চাঁদপুর সদর উপজেলার উল্লেখযোগ্য মণ্ডপগুলোর মধ্যে রয়েছে—কালিবাড়ি মন্দির, মিনার্ভা পূজা উদযাপন পরিষদ, গুহ বাড়ি পূজা মণ্ডপ, গোপাল জিউর আখড়া, পালপাড়া শীতলা মায়ের মন্দির, রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন, ঘোষপাড়া পূজা মণ্ডপ, বারোয়ারী পূজা মণ্ডপসহ একাধিক ঐতিহ্যবাহী পূজা মণ্ডপ।
সদরসহ জেলার সর্বত্রই নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা একযোগে কাজ করছে, যেন শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা যায়।
